Search This Blog

Tuesday, June 30, 2020

মা ও ছেলে

                              মা ও ছেলে
                        কবি রসময় লাহা
                   কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা
১) নিচের প্রশ্নগুলোর পূর্ণ বাক্যে উত্তর দাও।
** মা ও ছেলে কবিতাটি কে লিখেছে?
উত্তর:- মা ও ছেলে কবিতাটি রসময় লাহা লিখেছেন।
** কুলুঙ্গি বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- আগেকার দিনের পুরনো বাড়িতে দেওয়ালে ছোট ছোট খোপ থাকতো, যেখানে জিনিসপত্র রাখা যেত। এগুলোকেই কুলুঙ্গি বলে।
** কবিতায় বর্ণিত ছেলেটির নাম কি?
উত্তর:- কবিতায় বর্ণিত ছেলেটির নাম হল রমেশ।
** একজোড়া মানে কতগুলি?
উত্তর:- একজোড়া মানে দুইটি।
** এই কবিতায় কুলুঙ্গিতে কে সন্দেশ রেখেছিল?
উত্তর:- এই কবিতায় কুলুঙ্গিতে রমেশের মা সন্দেশ রেখেছিল।
** রমেশের মা কুলুঙ্গিতে কতগুলি সন্দেশ রেখেছিলে?
উত্তর:- রমেশের মা কুলুঙ্গি তে তিনজোড়া সন্দেশ রেখেছিলে।
** কুলুঙ্গি কেমন ছিল?
উত্তর:- কুলুঙ্গি খুব অন্ধকার ছিলো।
** রমেশ কতগুলি সন্দেশ খেয়েছিল?
উত্তর:- রমেশ দুটি সন্দেশ খেয়েছিল।
** রমেশ কতগুলি সন্দেশ দেখতে পাইনি?
উত্তর:- রমেশ দুই জোড়া অর্থাৎ চারটি সন্দেশ দেখতে পায়নি।
** বাকি সন্দেশ গুলো রমেশ দেখতে না পাওয়ার কারণ কি?
উত্তর:- কুলুঙ্গি টি খুব অন্ধকার থাকায় বাকি সন্দেশ গুলো রমেশ দেখতে পায়নি।
** কুলুঙ্গিতে রাখা সন্দেশ কমে গিয়েছিল কেন?
উত্তর:- কুলুঙ্গি তে রাখা সন্দেশ থেকে দুটি সন্দেশ রমেশ খেয়ে নিয়েছিল বলে কুলুঙ্গি র সন্দেশ কমে গিয়েছিল।
২) নিচে কিছু শব্দের বিপরীত শব্দ দেওয়া হলো
অন্ধকার = আলো
পাইনি = পেয়েছি
জোড়া = ছাড়া
জোড় = বিজোড়
আছে = নেই
৩) কবিতা থেকে কিছু শব্দের শব্দার্থ দেওয়া হল।
অন্ধকার = আঁধার
জোড়া = দুটি
মা = জননী
ছেলে = পুত্র
সন্দেশ = এক ধরনের মিষ্টি

গাছ বসাব


গাছ বসাব -  কার্তিক ঘোষ 




    



কবি পরিচিতি ঃ- 

      কার্তিক ঘোষের জন্ম ১৯৫০ সালে। তার লেখা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই হল - একটা মেয়ে একা, হাত ঝুমঝুম পা ঝুমঝুম, আমার বন্ধু গাছ, দলমা পাহাড়ের দুলকি, এ কলকাতা সে কলকাতা, জুঁই ফুলের রুমাল ইত্যাদি। ১৯৭৬ সালে " টুম্পুর জন্য" লেখাটির জন্য তিনি সংসদ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।

কবিতাটির সারমর্ম ঃ  

      গাছেরা এই পৃথিবীতে কিভাবে এলো - সেই জন্মকথা এই কবিতাটিতে ফুটে উঠেছে। অনেক অনেক দিন আগে তখন পৃথিবীতে স্থলভাগ দেখা যেত না, চারিদিকে শুধুই জল আর জল থাকতো। আকাশে সূর্যের প্রবল তেজ বিদ্যমান ছিল। ঝড় বৃষ্টি প্রতিনিয়ত লেগে থাকত।
      এমতাবস্থায়, পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের উদ্ভব হলো জলে এবং সেটা হল সবুজ শ্যাওলা রূপে। তারপর ধীরে ধীরে গাছের জন্ম হয়। গাছের জন্মকথা যেন রূপকথার গল্প কেও হার মানায়। কবির বিশ্বাস যে, সেই গল্প শুনে সকলেই আরো বেশি করে গাছ লাগানোর প্রতিজ্ঞা করবে।

কবিতাটি একটি সামাজিক বার্তা মূলক কবিতা। কবি এখানে গাছ লাগানোর জন্য মানুষকে উৎসাহ দিয়েছেন। কবি মনে করেন যে গাছেদের সম্বন্ধে জানলে প্রতিটি মানুষই গর্ববোধ করবে এবং আরো বেশি সংখ্যক গাছ লাগানোর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে। এখানেই কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা।


                            শব্দার্থ

ডাঙ্গা- স্থলভাগ , মাটি
সুয্যি- সূর্য
আগুন রাঙা- আগুনের মত জ্বলজ্বলে
রাঙা- রক্তিম বা লাল
নিত্য- রোজ, প্রতিদিন
ধারা- প্রবাহ বা বইছে এমন
শ্যাওলা- এক প্রকার জলজ উদ্ভিদ
সাড়া- জেগে ওঠা, ডাকা
রূপকথা- কাল্পনিক কাহিনী
গর্ব- অহংকার
বসাব- রোপণ করব



                         বিপরীত শব্দ


জল - স্থল
এইখানে - ওইখানে
ডাঙা - জল
ওপর - নীচ
নিত্য - মাঝে মাঝে, বা কখনো কখনো
প্রথম - শেষ
জন্ম - মৃত্যু 



কবিতাটি থেকে কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হলো ঃ 

১. গাছ বসাব কবিতার কবির নাম কি?
উত্তর:- গাছ বসাব কবিতাটির কবি হলেন কার্তিক ঘোষ

২. পৃথিবীতে গাছের জন্ম প্রথম কোথায় হয়েছিল?
উত্তর:- পৃথিবীতে গাছের জন্ম প্রথম জলে হয়েছিল

৩. পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি কিভাবে হয়েছিল?
উত্তর:- প্রতিদিন লেগে থাকা রোদ ঝড় বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ একদিন জলের মধ্যে শ্যাওলা রূপে জন্ম নিলো প্রান। 

৪. গাছেদের জন্ম কাহিনী কিসের মতো মনে হয়?
উত্তর:- গাছেদের জন্ম কাহিনী রূপকথার গল্পের মতো মনে হয়

৫. গাছেদের কথা পড়তে পড়তে কি রকম অনুভূতি হবে?
উত্তর:- গাছেদের কথা পড়তে পড়তে আমাদের বুক গর্বে ভরে উঠবে

৬. আগে চারিদিকে কি ছিল?
উত্তর:- আগে চারিদিকে শুধু জল ছিল

৭. সেই সময় নিত্যদিন কি দুর্যোগ হতো?
উত্তর:- সেই সময় নিত্যদিন ঝড় আর বৃষ্টি হতো

৮. পৃথিবীতে গাছের জন্ম হলো কিরূপে?
উত্তর:- পৃথিবীতে শ্যাওলা রূপে গাছের জন্ম হলো

৯. কাদের কথা পড়ে আমাদের গর্ব হবে?
উত্তর:- গাছেদের কথা পড়ে আমাদের গর্ব হবে

১০. মাথার ওপর কে আগুন রাঙা?
উত্তর:- মাথার ওপর সূর্য আগুন রাঙা

১১. গাছের কথা পড়ে সবাই কি বলবে?
উত্তর:- গাছের কথা পড়ে সবাই বলবে "একশটা নয়, আরো গাছ বসাবো" ।


সত্যি সোনা










 



উপরের ভিডিও টি বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এইখানে ক্লিক করুন / স্পর্শ করুন


পাঠ্যাংশে বর্ণিত সত্যি সোনা গল্পটি একটি প্রচলিত গল্প। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই গল্পটি লোকের মুখে মুখে প্রচলিত হয়ে এসেছে।

গল্পটির সারমর্ম
      গল্পটি পড়ে আমরা জানতে পারব যে, এক বৃদ্ধ চাষির মৃত্যুশয্যায়। সেই চাষির ছেলে বড়ই অলস। মারা যাবার সময় সেই চাষি তার ছেলেকে কাছে ডাকলেন এবং বললেন যে, তার জমানো সোনা তাদের চাষের জমির মধ্যে পুঁতে রাখা আছে। এই বলে তিনি মারা গেলেন। এদিকে অলস ছেলের লোভ ছিল ষোল আনা। কিন্তু চাষির ছেলের বউ ছিল খুব বুদ্ধিমতী। চাষির ছেলে তার বউয়ের পরামর্শে এবং সোনা পাবার লোভে দুজন মজুরকে সাথে নিয়ে গোটা জমি খুড়ে ফেললেন। কিন্তু কোন সোনা পাওয়া গেল না। তখন বউয়ের কথায় চাষির ছেলে বাজার থেকে সেরা ধানের বীজ কিনে নিয়ে আসে এবং সেই চষে ফেলা জমিতে সেই বীজ ছড়িয়ে দেয়। তারপর যথারীতি নামে বর্ষা। উপযুক্ত পরিবেশে সেবছর ফসল ফলে খুব ভালো। মাঠ ভরা পাকা ধানের রাশি দেখে মনে হয় কেউ যেন সত্যি সত্যি মাঠে সোনা ঢেলে দিয়েছে। ফসল কাটার পর চাষির ছেলে তা হাটে বিক্রি করে এক থলি টাকা উপার্জন করে। তখন সে উপলব্ধি করে যে, কঠোর পরিশ্রম করলে এবং বুদ্ধিকে কাজে লাগালে তার পুরস্কার অবশ্যই পাওয়া যায়।


                                শব্দার্থ 


চাষি               =  যে চাষ করে
কঠিন             =  শক্ত, সহজে সাড়ে না এমন
অসুখ             =  রোগ, ব্যাধি
দরকারি          =  কাজের, প্রয়োজন 
ষোলআনা       =  পুরোপুরি
পোঁতা             =  মাটি খুঁড়ে ঢোকানো
চোখ বুজলো   =  মারা গেল
গড়িমসি          =  অলসতায় সময় কাটানো
কপাল             =  ভাগ্য
মৃত্যুশয্যা         =  মারা যাবার আগের শয্যা
অলস             =  কুঁড়ে  
আলসেমি       =  কুঁড়েমি
নিশ্চিন্ত           =  চিন্তা না করে বা, চিন্তাহীন
বৃথা                =  মিছিমিছি
নজর             =  খেয়াল ,দৃষ্টি
যথাসময়ে       =  সময়মত ,ঠিক সময়ে
শস্য                =  ফসল
অবাক            =  বিস্ময়
বুদ্ধিমতী          =  চালাক মহিলা বা চতুর মহিলা
গজগজ করা   = বিরক্তি প্রকাশ করা
শুয়ে বসে        =  কোন কাজ না করে
রোজগার         =  আয়
পরিশ্রম            =  খাটুনি
পুরস্কার            =  উপহার
ধারণা              =  বোধ বা জ্ঞান
গর্ব                  =  অহংকার
ক্ষেত               =  চাষের জমি

   

                             বিপরীত শব্দ 



বুড়ো              =  জোয়ান, শিশু
বাঁচা               =  মরা
দরকারি         =  অদরকারি
হেঁসে              =  কেঁদে 
সকালে          =  সন্ধ্যায় 
দোষ              =  গুণ 
সুবিধা            =  অসুবিধা 
স্বামী              =  স্ত্রী
মিথ্যে             =  সত্যি
পুরস্কার          =  তিরস্কার
কঠিন             =  সহজ
যাওয়া            = আসা 
অলস             = কর্মঠ
বুদ্ধিমতী         =  বোকা
ভালো             =  খারাপ, মন্দ
সকাল            =    সন্ধ্যা
খুশি               =  অখুশি 
দেরি              =  তাড়াতাড়ি    


অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর (হাতে কলমে)



১)  একটি বাক্যে উত্তর দাও।
১.১) বুড়ো চাচির সংসারে কে কে ছিল?
উত্তর:-  বুড়ো চাষির সংসারে বুড়ো চাষি, চাষির ছেলে, আর চাষির ছেলের বউ ছিল।

১.২)  চাষির ছেলেটি কেমন প্রকৃতির ছিল?
উত্তর:-  চাষির ছেলে খুব অলস কুঁড়ে এবং লোভী ছিল।

১.৩)  বাপের কথা শুনে ছেলের মনের অবস্থা কেমন হলো?
উত্তর:-  বাপের কথা শুনে লোভে ছেলের চোখ দুটো চকচক করে উঠলো।

১.৪)  বুড়ো চাষি কোন কথাটা তার ছেলেকে বলে যাননি?
উত্তর:-  সোনা জমিতে ঠিক কোনখানে পোঁতা আছে- সেই কথাটা বুড়ো চাষি তার ছেলেকে বলে যাননি।

২) সংক্ষেপে উত্তর দাও
২.১)  চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কতটা জমি খুঁড়েছিল ?
উত্তর :- চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচ বিঘা জমি খুঁড়েছিলো। 

২.২) চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে কে খুশি হয়েছিল ?
উত্তর :-  চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে তার বউ খুশি হয়েছিল

২.৩)  গল্পে কোদাল দিয়ে মাটি খোঁড়ার কথা বলা হয়েছে, আর কি কি দিয়ে মাটি খোঁড়া যায় বলে তোমার জানা আছে ?
উত্তর:- কোদাল ছাড়াও লাঙ্গল, শাবল, নিড়ানি দিয়ে  মাটি খোঁড়া যায়।

৩)  বন্ধনীর মধ্য থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে পুরো কথাটা আবার নিচে লেখ।

৩.১) ছেলের চোখ দুটো লোভে (ঝকঝক /চকচক /ঝকমক /ঝিকমিক )করে ওঠে
উত্তর:- ছেলের চোখ দুটো লোভে চকচক করে ওঠে

৩.২)  চাষির ছেলের বউ ছিল খুব (চালাক /সরল/ বোকা /বুদ্ধিমতী)
উত্তর :- চাষির ছেলের বউ ছিল খুব বুদ্ধিমতী

৩.৩) বউ বলেছিল, সোনা যদি পাও তবে (আমাদের /তোমার/ মজুরদের /আমার ) কপাল ফিরে যাবে। 
উত্তর:- বউ বলেছিল, সোনা যদি পাও তবে আমাদের কপাল ফিরে যাবে।

৩.৪)  চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা (কম পয়সায় /দোকানে/ হাটে /বাজারে) বিক্রি করে।
উত্তর:- চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা হাটে বিক্রি করে।


৪)  সংক্ষেপে উত্তর দাও
৪.১)  চাষির ছেলে নিজে চাষ আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না কেন?
উত্তর:- চাষির ছেলে ছিল ভীষণ অলস প্রকৃতির। সে চিরকালই শুয়ে-বসে কাটিয়েছে। তাই সে নিজে চাষ আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না।

৪.২)  শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলে র মাঠে চাষ করতে যাওয়ার কারণ কি ছিল?
উত্তর:- বউয়ের কথা শুনে চাষির ছেলে উপলব্ধি করে যে, মাটি খুড়তে গিয়ে মজুরেরা যদি সোনা পেয়ে যায়, তাহলে তারা সেটা সরিয়ে ফেলতে পারে। সেই কারণে মজুরদের কাজে নজরদারি করার জন্য শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলে মাঠে চাষ করতে যায়।

৪.৩)  চাষির ছেলের বউ কোন সময়কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে?
উত্তর:-  চাষির ছেলের বউ বর্ষা নামার আগের সময় কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে।

৪.৪)  সে কোথা থেকে বীজ কিনে এনেছিল?
উত্তর:-  সে হাট থেকে বীজ কিনে এনেছিল

৪.৫)  সে কিসের বীজ কিনেছিল?
উত্তর:-  সে সবচেয়ে সেরা ধানের বীজ কিনেছিল।

৪.৬)  গল্পে কোন মানুষটাকে তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হলো ?
উত্তর:-  গল্পে চাষির ছেলের বউকে আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হলো। কারণ পুরো গল্পটাতে ই চাষির ছেলের বউয়ের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়।

৫)  নিজের ভাষায় উত্তর দাও।
৫.১)  "সেটা বলবো বলেই তো ডেকেছি তোমায়"- কে এই কথা বলেছে? সে কাকে এই কথা বলেছে? সে তাকে কি বলার জন্য ডেকেছিল?
উত্তর:-  সত্যি সোনা গল্পে উল্লেখিত বৃদ্ধ চাষির এই কথা বলেছে। 
সে তার অলস ও লোভী ছেলে কে এই কথা বলেছে।
তার লুকোনো সোনা কোথায় রাখা আছে -সেটা বলার জন্যই সে তার ছেলেকে ডেকেছিল। 

৫.২)  গল্পে চাষির ছেলের বউ চাষির ছেলেকে কিভাবে সাহায্য করেছে তা লেখ।
উত্তর:-  বুদ্ধিমতী বউয়ের পরামর্শে চাষির ছেলে গোটা জমিটা খুঁড়ে দেখে। বউয়ের পরামর্শেই সে জমি খোড়ার জন্য দুজন মজুর কে কাজে লাগান। শুধু তাই নয়, বউয়ের পরামর্শেই চাষির ছেলে জমিতে উপস্থিত থেকে মজুরদের কাজের ওপর তত্ত্বাবধান করেন। অবশেষে বউয়ের পরামর্শ অনুযায়ী জমিতে সোনার ফসল ফলিয়ে
অর্থ উপার্জনে সাফল্য লাভ করেন।

৫.৩)  সত্যি সত্যি সোনা ফলেছে মাঠে- কে এই কথা বলেছে? সোনা বলতে এখানে আসলে কোন জিনিসকে বোঝানো হয়েছে? সেই জিনিসটা সোনা না হলেও তার সঙ্গে সোনার কি কি মিল আছে?
উত্তর:-  চাষির ছেলের বউ এই কথা বলেছেন।
             এখানে সোনা বলতে সোনালী রঙের  পাকা ধান কে বোঝানো হয়েছে।
পাকা ধান সোনার মতোই সোনালী রঙের হয়।
তাছাড়া সোনার যেমন অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে, পাকা ধানের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম।

৫.৪)  চাষির ছেলে ফসল বিক্রি করে বাড়ি ফিরলে তার বউ কি কারণে খুশি হলো?
উত্তর:-  ফসল বিক্রির টাকাটাই ছিল চাষির ছেলের প্রথম রোজগার। বউটি তার স্বামীকে প্রথমবার জীবনে পরিশ্রম করে রোজগার করতে দেখে খুব খুশি হয়েছিল।

৫.৫)  চাষির ছেলে আর তার বউ বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে কি পুরস্কার পেয়েছে?
উত্তর:-  বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে তারা মাঠ ভরা ফসল ফলাতে পেরেছে, যা বিক্রি করে এক থলি টাকা পেয়েছে। চাষির অলস ছেলে কে তার বউ পরিশ্রমী করে তুলতে পেরেছে। সর্বোপরি নিজের পরিশ্রমের উপযুক্ত ফল লাভ করার জন্য অপার আনন্দ পেয়েছে।


৫.৬)  "ছেলের বউ খুব বুদ্ধিমতি"-  তার বুদ্ধির প্রকাশ গল্পে কিভাবে লক্ষ্য করা গেল ?
উত্তর:-  চাষির ছেলের বউ তার অলস স্বামীকে কাজে লাগানোর জন্য প্রথমে দুজন মজুর নিয়োগ করার কথা বলল। আবার সোনা পেলে মজুরেরা নিয়ে চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে সে তার স্বামীকেও  মাটি খোঁড়ার কাজে লাগাতে সক্ষম হয়। জমি খোড়ার পর যখন সোনা না পেয়ে তার স্বামী হতাশ হয়ে পড়ে, তখন সে তাকে জমিতে ধানের বীজ বোনার পরামর্শ দেয়। সে নিজে হাট থেকে বীজ কিনে এনে দেয়। তার এই বুদ্ধিমত্তার ফলে তাদের জমিতে সোনার ফসল ফলে।


৬)  সোনা সকলের কাছেই পছন্দের। কারণ তার কতগুলো গুণ আছে।সেই গুণগুলো পাশের বাক্স থেকে নিয়ে তুমি নিচের ফাঁকা জায়গাগুলি তে বসাও।

৬.১)  পিতলের থালা টা সোনার মতোই ..........
৬.২)  পাকা ধান সোনার মতোই ..............
৬.৩)  .......... সোনা দিয়ে গয়না বানানো যায় না
৬.৪)  রুপো চকচকে হলেও সোনার চেয়ে কম ..............
         
         (চকচকে ,আসল ,দামি ,ঝলমলে)


                                 -:উত্তর:-  

৬.১)  পিতলের থালা টা সোনার মতোই চকচকে
৬.২)  পাকা ধান সোনার মতোই ঝলমলে
৬.৩)  আসল সোনা দিয়ে গয়না বানানো যায় না
৬.৪)  রুপো চকচকে হলেও সোনার চেয়ে কম দামি
               
 


















Saturday, June 6, 2020

আমরা চাষ করি আনন্দে

 আমরা চাষ করি আনন্দে

  কবিতাটির সম্পূর্ণ ক্লাসের ভিডিও 


      



উপরের ভিডিও টি বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এইখানে ক্লিক করুন/ স্পর্শ করুন


নিজের হাতে নিজের কাজ

নিজের হাতে নিজের কাজ


      



উপরের ভিডিও টি বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এইখানে ক্লিক করুন/ স্পর্শ করুন


দেয়ালের ছবি

 দেয়ালের ছবি

গল্পটির  সম্পূর্ণ  ক্লাসের  ভিডিও টি  নীচে  দেওয়া  হল 

    


উপরের ভিডিও টি বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এইখানে ক্লিক করুন/ স্পর্শ করুন

 


সারাদিন

 সারাদিন

কবিতাটির  সম্পূর্ণ  ক্লাসের  ভিডিও টি  নীচে  দেওয়া  হল 

       


উপরের ভিডিও টি বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এইখানে ক্লিক করুন/ স্পর্শ করুন


ফুল

 ফুল

গল্পটির  সম্পূর্ণ  ক্লাসের  ভিডিও টি  নীচে  দেওয়া  হল 

       


উপরের ভিডিও টি বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এইখানে ক্লিক করুন/ স্পর্শ করুন


আজ ধানের ক্ষেতে

সোনা

 সোনা 

গল্পটির  সম্পূর্ণ  ক্লাসের  ভিডিও টি  নীচে  দেওয়া  হল 

        


উপরের ভিডিও টি বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এইখানে ক্লিক করুন/ স্পর্শ করুন


নদী

 নদী 

কবিতাটির  সম্পূর্ণ  ক্লাসের  ভিডিও টি  নীচে  দেওয়া  হল  

     


উপরের ভিডিও টি বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এইখানে ক্লিক করুন/ স্পর্শ করুন


নদীর তীরে একা

নৌকাযাত্রা

                                নৌকাযাত্রা 
                           রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর



সংক্ষেপে আমরা যেভাবে পড়বো    
                           
                ** প্রথমেই কবি পরিচিতি পড়ে নেব।
           ** গল্প/কবিতা টি স্পষ্ট উচ্চারণ সহ বারবার পড়বো।
           ** অজানা শব্দের শব্দার্থ গুলো মুখস্থ করব।
           ** বানান ও হাতের লেখার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেব।
           ** অবশেষে অনুশীলনী র প্রশ্ন গুলোর উত্তর করব।
           ** এই ওয়েবসাইট এ কিছু online mock test দেব।

এবার শুরু করা যাক আজকের পড়া ঃ

    কবি পরিচিতি                
                  কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের জন্ম ইং ১৮৬১ খ্রিঃ , মৃত্যু ইং ১৯৪১ খ্রিঃ ।
            কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন তিনি। পিতা- দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুর,
মাতা- সারদা দেবী। সহজ পাঠ, কথা ও কাহিনী , রাজর্ষি, ছেলেবেলা, শিশু, শিশু ভোলানাথ, হাস্যকৌতুক, ডাকঘর, গল্পগুচ্ছ - তাঁর অন্যতম রচনা। 
            তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার একজন শ্রেষ্ঠ গীতিকার ও সুরকার।তাঁর রচিত গানগুলো গীতবিতান নামক বইতে রয়েছে।
            ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি গীতাঞ্জলি কাব্য রচনার জন্য নোবেল পুরস্কার পান। ভারত ও বাংলাদেশের
জাতিয় সঙ্গীত তাঁরই রচনা।
            পাঠ্য পুস্তকের নৌকাযাত্রা কবিতাটি তাঁর শিশু বই থেকে নেওয়া হয়েছে ।

                                                         
         এবার আমরা কবিতার প্রথম স্তবকটি পড়া শুরু করব।

       

         প্রথম স্তবক থেকে অজানা কিছু শব্দার্থ ঃ      

                  মাঝি-  নৌকার চালক বা নৌকা যে চালায়       
                  বোঝাই করা-  ভর্তি করা
                  কেবল -  শুধু
                  পাট-  এক ধরনের তন্তু জাতীয় শস্য
                             (এখানে পাট বলতে পাট গাছের 
                              আঁশকে বোঝানো হয়েছে)
                   দাঁড় -  যা দিয়ে নৌকা চালানো হয়
                   আঁটি -  আটকায়, বা লাগায়
                   পাল-  কাপড়ের তৈরি পর্দা বিশেষ যার 
                              সাহায্যে বাতাসের গতিকে কাজে
                               লাগিয়ে নৌকা চালানো হয়
                   হাট-   জিনিষ কেনা বেচা করার জাইগা।
                              সাধারনত সপ্তাহের নির্দিষ্ট এক বা
                              একাধিক দিনে হাট বসে থাকে।
                   পার-   পার হওয়া, বা পেরিয়ে যাওয়া  


           কবিতাটির প্রথম স্তবকটি পড়ে আমরা যা বুঝলাম 
              মধু নামক মাঝিটির নৌকাটি রাজগঞ্জের ঘাটে বেঁধে রাখা আছে। নৌকাটিতে পাট
          ভর্তি করে রাখা আছে। সেই কারনে নৌকাটি কারুর কোন কাজে লাগছে না।সেই নৌকাটি 
          দেখে একটি শিশুর মনে সেটি পাবার জন্য ইচ্ছে  জাগে। এখানে কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর 
          নিজের মনের ইচ্ছে সেই শিশুর মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। কবিতায় বলা হয়েছে যে শিশুটি
          যদি নৌকাটি পায় তাহলে, প্রথমেই সে তাতে একশো টা দাঁড় লাগাবে ও চারটে ,পাঁচটা ,ছটা 
          পাল তুলে দেবে। তারপর সেই নৌকা নিয়ে সে হাটে বাজারে ঘুরে বেরিয়ে সময় নষ্ট করবে
          না। বরং , সেই নৌকাটি করে সে একটি বারের জন্য সাত সমুদ্র ও তেরো নদী পার হয়ে 
          যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

    
          কবিতার প্রথম স্তবকের ক্লাসের সংক্ষিপ্ত ভিডিও



                                                                                  
    প্রথম স্তবক থেকে কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হল 

সমস্ত প্রশ্নর উত্তর ছাত্র ছাত্রী রা নিজেরা করার চেষ্টা করো। উত্তর নীচে দেওয়া আছে,উত্তর তোমরা নিজেরাই মিলিয়ে নাও। 
(এক্ষেত্রে অভিভাভক/অভিভাবিকা দের সহায়তা একান্ত কাম্য) 


           **১)  নৌকাযাত্রা কবিতাটি কার লেখা ? 
           **২)  কবিতাটি কোন বই থেকে নেওয়া হয়েছে ?
           **৩)  এই কবিতায় যে মাঝির কথা বলা হয়েছে তছের নাম কি ?
           **৪)  মধু মাঝির নৌকা খানা কোথায় বাঁধা আছে ?
           **৫)   নৌকাটিতে কি রাখা আছে ?
           **৬)  নৌকাটি পেলে শিশুটি তাতে কতগুলি দাঁড় ও কতগুলি পাল লাগাবে ?
           **৭)   নৌকাটি পেলে শিশুটি কি করবে ?
          **৮)  নৌকাটি করে শিশুটির কোথায় যাবার ইচ্ছা ?
          **৯)  পাল ও দাঁড় নৌকার কি কাজে লাগে ?
          **১০)  হাট বলতে কি বোঝ ? 
                                                     
                                                        
     
                                                             উত্তর 

         **১)  নৌকাযাত্রা কবিতাটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ।
        **২)  কবিতাটি "শিশু" বই থেকে নেওয়া ।।
        **৩)  এই কবিতায় যে মাঝির কথা বলা হয়েছে তার নাম মধু ।
        **৪)  মধু মাঝির নৌকা খানা রাজগঞ্জের ঘাটে বাঁধা আছে ।
        **৫)  নৌকাটিতে পাট ভর্তি করে রাখা আছে ।
       **৬)  নৌকাটি পেলে শিশুটি একশোটা দাঁড় ও চারটে-পাঁচটা-ছ'টা পাল লাগাবে ।
        **৭)  নৌকাটি পেলে শিশুটি প্রথমেই তাতে একশোটা দাঁড় ও চারটে-পাঁচটা-ছ'টা পাল লাগাবে,                          তারপর সেই নৌকা করে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে নতুন রাজার দেশে যাবে ।
       **৮)  নৌকাটি করে কবিতার শিশুটির সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে নতুন রাজার দেশে যাবার 
               ইচ্ছা ।
       **৯)  "দাঁড়ের" সাহায্যে নৌকা চালানো হয়, আর "পালের" সাহায্যে বাতাসের গতিকে কাজে 
              লাগিয়ে নৌকার গতি বাড়ানো হয়। 
     **১০)  সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে বসে এমন বাজার কে "হাট" বলে ।
                 
  
বিপরীত শব্দ

বাঁধা - খোলা 
বোঝাই - খালি
মিথ্যে - সত্যি
আঁটি - খুলি
তুলে - নামিয়ে

সমার্থক শব্দ

মাঝি - কাণ্ডারি 
সমুদ্র - অর্ণব, জলধি, সাগর 
নৌকা - তরী, জলযান 
নদী - প্রবাহিনী, তটিনী, তরঙ্গিনী  

শব্দ যুগলের অর্থ পার্থক্য দেখাও

বাধা - প্রতিরোধ 
                বাঁধা - বাঁধন, বা বেঁধে রাখা 

পার - পেরোনো 
                   পাড় - কিনারা, বা নদীর কুল


এবার আমরা কবিতাটির দ্বিতীয় স্তবকটি পড়া শুরু করব ঃ

          দ্বিতীয় স্তবক থেকে কিছু শব্দার্থ দিয়ে দেওয়া হল 

              কোণে - প্রান্তে (এখানে কোণে বলতে ঘরের কোন এক প্রান্তকে বোঝানো হয়েছে)

              রাজপুত্র - রাজার ছেলে
              সোনা - স্বর্ণ 
              মানিক - এক প্রকার রত্ন বিশেষ 





    অর্থাৎ, কবিতাটির দ্বিতীয় স্তবকটি  পড়ে আমরা যা জানলাম 
                 শিশুটি তার মা কে ঘরের এক কোণায় বসে মন খারাপ করে একা একা বসে কাঁদতে বারুন
করছে । কারন, সে রামের মতো দীর্ঘ চোদ্দ বছরের জন্য তার মা কে ছেড়ে বনবাসে চলে যাচ্ছে না । 
সে রাজপুত্রের মতো নৌকা ভর্তি করে সোনা মানিক নিয়ে বাণিজ্য করতে যাচ্ছে । তাছাড়া, তার এই যাত্রাপথে সে একা যাবে না। তার দুই- বন্ধু আশু ও শ্যাম থাকবে তার  সাথে । সেই কারনে সে তার মা কে শুধু শুধু চিন্তা করে কাঁদতে মানা করছে। 
                দ্বিতীয় স্তবক থেকে কিছু প্রশ্ন উত্তর 

 (সমস্ত প্রশ্নর উত্তর ছাত্রছাত্রী রা নিজেরা করার চেষ্টা করবে। উত্তর নীচে দেওয়া আছে, তোমরা নিজেরাই উত্তর মিলিয়ে নাও।   এক্ষেত্রে অভিভাবক/অভিভাবিকা দের সহায়তা একান্ত কাম্য

             **১)    রামকে বনে যেতে হয়েছিল কেন ?
             **২)   রামকে কত বছরের জন্য বনবাসে যেতে হয়েছিল ?
             **৩)   শিশুটি নৌকা করে কি নিয়ে যাবে ?
             **৪)  যাত্রাপথে শিশুটির সঙ্গি কে থাকবে ?
             **৫)  শিশুটি তার মা কে কাঁদতে বারুন করেছে কেন ?
             **৬)  রামচন্দ্রের কাহিনী কোন বই পড়লে জানা যায় ?
             **৭) রাজপুত্র, সোনা-মানিকের কথা কোন বই পড়লে জানা যায় ?
             **৮)  নৌকাযাত্রা কবিতায় কে কাকে কাঁদতে বারুন করেছে ? 
 


                                                               উত্তর 



               **১)  রাম কে পিতৃসত্য পালনের জন্য বনে যেতে হয়েছিল ।
               **২)  রাম চোদ্দ বছরের জন্য বনবাসে গিয়েছিল । 
               **৩)  শিশুটি নৌকা করে সোনা মানিক নিয়ে যাবে ।
               **৪)  যাত্রাপথে শিশুটির সঙ্গি হবে তার দুই বন্ধু আশু ও শ্যাম ।
               **৫)  শিশুটি তার মা কে কাঁদতে বারুন করছে কারন , সে রামচন্দ্রের মতো চোদ্দ বছরের                               জন্য বনবাসে যাচ্ছে না। সে যাচ্ছে মাত্র এক বারের জন্য বাণিজ্য করতে। তাছাড়া, সে                           রাজপুত্র হয়ে সোনা মানিক ভর্তি নৌকা করে যাত্রা করবে । শুধু তাই নয় যাত্রা পথে                               আশু ও শ্যামও থাকবে তার সাথে ।
              **৬)  রামচন্দ্রের কাহিনী রামায়ণ বই পড়লে জানা যায় ।
              **৭)  রাজপুত্র, সোনা মানিকের কথা রূপ কথার বই পড়লে জানা যায় ।
              **৮) নৌকাযাত্রা কবিতায় শিশুটি তার মা কে কাঁদতে বারুন করেছে ।
   


       বিপরীত শব্দ 

রাজপুত্র- রাজকন্যা 
ভরা- খালি
আমরা- তোমরা


সমার্থক শব্দ 

সোনা- স্বর্ণ, কনক
বন - জঙ্গল, অরণ্য 
মা - মাতা, জননী 

শব্দ যুগলের অর্থ পার্থক্য 

কোণে - প্রান্তে
                      কনে - বিয়ের পাত্রী, নববধূ 



এবার আমরা তৃতীয় স্তবকটি পড়া শুরু করব। 


তৃতীয় স্তবক থেকে কিছু শব্দার্থ নীচে দেওয়া হল 

তিরপূরনির ঘাট- একটি ঘাটের নাম
তেপান্তরের মাঠ- লোক কথায় কথিত মাঠ বিশেষ
মাঠ- প্রান্তর, ময়দান
গল্প- কাহিনী 






অর্থাৎ কবিতার তৃতীয় স্তবকটি পড়ে আমরা যা জানলামঃ 
             শিশুটি তার দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে সোনা মানিক ভরা নৌকাটি ভোরের বেলায় ছেড়ে দেবে । 
দেখতে দেখতে সে অনেক দূরে ভেসে চলে যাবে। দুপুর বেলায় তার মা যখন পুকুর ঘাটে থাকবে, তখন শিশুটি নতুন রাজার দেশে পৌঁছে যাবে । তিরপূরনির ঘাট আর তেপান্তরের মাঠ পার করে সে পৌছবে নতুন রাজার দেশে। তারপর সন্ধে বেলায় সে ফিরে আসবে তার মায়ের কাছে। বাড়ি ফিরে আসার পর শিশুটি তার মায়ের কোলে বসে মা কে যাত্রাপথের সমস্ত ঘটনা গল্পর আকারে বলবে। 


তৃতীয় স্তবক থেকে কিছু প্রশ্ন উত্তর

(সমস্ত প্রশ্নর উত্তর ছাত্র- ছাত্রী রা নিজেরা করার চেষ্টা করবে। উত্তর নীচে দেওয়া আছে । তোমরা নিজেরাই নিজেদের উত্তর মিলিয়ে নাও।এক্ষেত্রে অভিভাবক/অভিভাবিকা দের সহায়তা একান্ত কাম্য)

**১) নৌকাটি কখন ছাড়া হবে ?
**২) শিশুটি কখন নতুন রাজার দেশে পৌছবে ?
**৩) শিশুটি যখন নতুন রাজার দেশে পৌছবে তখন তার মা কোথায় থাকবে ? 
**৪) নতুন রাজার দেশে যেতে পথে কি কি পরবে ?
**৫) শিশুটি কখন ফিরে আসবে ?
**৬) ফিরে এসে শিশুটি কি করতে চায় ?
**৭) শিশুটি সাত সমুদ্র তেরো নদী কতবার পার হতে চায় ?
**৮) নতুন জায়গা থেকে ফিরে এসে সে তার মা কে কিভাবে গল্প শোনাবে ?
 


উত্তর

**১) নৌকাটি ভোরের বেলায় ছেড়ে দেওয়া হবে ।
**২) শিশুটি দুপুর বেলায় নতুন রাজার দেশে পৌছবে ।
**৩) শিশুটি যখন নতুন রাজার দেশে পৌছবে তখন তার মা পুকুর ঘাটে থাকবে ।
**৪) নতুন রাজার দেশ যেতে পথে তিরপূরনির ঘাট ও তেপান্তরের মাঠ পরবে । 
**৫) শিশুটি সন্ধ্যে বেলায় ফিরে আসবে ।
**৬) শিশুটি ফিরে আসার পর মায়ের কোলে বসে মা'কে যাত্রাপথের গল্প বলতে চায় ।
**৭) শিশুটি সাত সমুদ্র তেরো নদী একবারের জন্য পার হতে চায় ।
**৮) নতুন জায়গা থেকে ফিরে এসে সে তার মায়ের কোলে বসে মা'কে গল্প শোনাবে । 


বিপরীত শব্দ

সন্ধ্যে- সকাল
দেশে- বিদেশে 
নতুন- পুরাতন 


শব্দ যুগলের অর্থ পার্থক্য

ছ'টা - সময়
  ছটা - শোভা 

দেশ - রাষ্ট্র 
 দ্বেষ - ঘৃণা  
    
             

ঢেউয়ের তালে তালে

পর্যটন

গাছেরা কেন চলাফেরা করেনা

জুঁই ফুলের রুমাল

জুঁই ফুলের রুমাল 

গল্পটির সম্পূর্ণ ক্লাসের ভিডিও টি নীচে দেওয়া হল 

     


উপরের ভিডিও টি বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এইখানে ক্লিক করুন/ স্পর্শ করুন


সাথি

একা একা থাকতে নেই

 একা একা থাকতে নেই 

গল্পটির  সম্পূর্ণ  ক্লাসের  ভিডিও টি  নীচে  দেওয়া  হল  

      


উপরের ভিডিও টি বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এইখানে ক্লিক করুন/ স্পর্শ করুন




আরাম

হিংসুটি

 

হিংসুটি ঃ  সুকুমার  রায় 


মন কেমনের গল্প

দেশের মাটি

 দেশের মাটি কবিতাটির সম্পূর্ণ ক্লাসের ভিডিও টি নীচে দেওয়া হল 


         


উপরের ভিডিও টি আরো বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এই খানে ক্লিক করুন/ স্পর্শ করুন




কবিতাটির  অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হল নীচের ভিডিও তে 









কীসের থেকে কী যে হয়


কীসের থেকে কী যে হয় 


 







      

      এটি একটি প্রচলিত গল্প , অর্থাৎ দীর্ঘ দিন ধরে গল্পটি লোকের মুখে মুখে প্রচলিত হয়ে 
আসছে। 

      নীচে গল্পটির অনুশীলনীর প্রশ্ন গুলোর উত্তর করে দেওয়া হল। 
১.১।  কিশোরী মেয়ে বনে কি করতে যায় ?
          উত্তর-   কিশোরী মেয়ে বনে কাঠ কাটতে যায়। 

১.২।  কার লেজ কাটারির আঘাতে কেটে গেছিল ?
           উত্তর-  কাঠবেড়ালির লেজ কাটারির আঘাতে কেটে গেছিল । 

১.৩।  কিশোরী মেয়ে কোন হাতে কাটারি ধরেছিল ?
          উত্তর-  কিশোরী মেয়ে বাঁ হাতে কাটারি ধরেছিল ।

১.৪।  ছোটো পাখি কার কানে ঢুকে পড়েছিল ?
          উত্তর-  ছোটো পাখি হাতির কানে ঢুকে পড়েছিল।


২.১।  কিশোরী মেয়েরা কিসের জন্য বনে যেত ?
          উত্তর-  কিশোরী মেয়েরা বনের ধারে গ্রামে থাকত। তারা বনের মধু অ ফল্মুল খেত।
                       তাই তারা মধু, ফল্মুল ও রান্না করার জন্য শুকনো কাঠ আনতে বনে যেত।

২.২।  কাঠবিড়ালি রেগে গেছিল কেন ? সে রেগে গিয়ে কি করেছিল ?
           উত্তর-  বনে শুকনো কাট নিতে আশা মেয়েটির হাত থেকে পড়ে যাওয়া কাটারিতে 
                        কাঠবিড়ালির লেজ কেটে যাওয়ায় কাঠবিড়ালি টি রেগে গেছিল। 

                        সে রেগে গিয়ে গাছের উঁচু ডালে উঠে একটা ফলে কামড় দিয়ে সেটাকে ফেলে 
                         দিয়েছিল। 

২.৩।  হরিণ ভয় পেয়েছিল কেন ? ভয় পেয়ে সে পাখির কি ক্ষতি করেছিল ?
           উত্তর-  হরিণ গাছের নীচে শান্তিতে শুয়েছিল। এমন সময় আচমকা গাছের উপর 
                        থেকে কাঠ বিড়ালির কামড় দেওয়া  ফল তার মাথায় পরায় সে ভয় পেয়েছিল। 
                         আবার কিছু তার মাথায় পড়তে পারে এমন আশঙ্কা সে করেছিল ।

                         ভয় পেয়ে সে দৌড়ে পালাচ্ছিল । আর ঠিক সেই সময় তার পায়ের আঘাতে
                         ঝুরো মাটিতে থাকা পাখির বাসা ভেঙে গেছিল। 

২.৪।  হাতি কেন চাষির ফসলের ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছিল ? 
           উত্তর-  হঠাৎ করে ছোটো একটা পাখি হাতির কানে ঢুকে পরায়, হাতিটি যন্ত্রণায় এবং 
                        ভয়ে চাষির ক্ষেতে ঢুকে দৌড়া-দৌড়ি করে ফসলের ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছিল।



৩।   ৩ নং প্রশ্নের উত্তর টা নীচে করে দেওয়া হল 

         
           প্রাণীর নাম
             প্রাণীটি যা খায়
কাঠ বিড়ালি
বাদাম
পিঁপড়ে
চিনির দানা
হাতি
কলা গাছ
পাখি
পোকা-মাকড়
হরিণ
ঘাস


৪.।    ৪ নং প্রশ্নের উত্তর গুলো নীচে করে দেওয়া হল 

৪.১।  কাঠ পিঁপড়ে কিশোরী মেয়েটির ডান হাতে কামড়ে দিয়েছিল। 

৪.২।  হাতি ধানের ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছিল। 

৪.৩।  হরিণের পায়ের চাপে পাখির বাসা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ।

৪.৪।  কিশোরী মেয়েটি কাঠপিঁপড়ে র কোমরে সুতো বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছিল। 



৫।  ৫ নং প্রশ্নের উত্তরটি নীচে করে দেওয়া হল 

       
      বাম দিক
      ডান দিক
পাখির
বাসা
গাছের
ডাল
ফসলের
ক্ষেত
হাতির
শুঁড়
হাতের
তালু



৬।  নীচে গল্পের ঘটনা গুলি পর্যায়ক্রমে সাজিয়ে দেওয়া হল 

       *  কাঠ পিঁপড়ের কামড় খেয়ে কিশোরী মেয়ের হাত থেকে কাটারি পড়ে গেল

       *  কাটারির আঘাতে কাঠবিড়ালির লেজ কেটে গেল  

       *  কাঠ বিড়ালি রেগে উঁচু গাছের ফল হরিণের মাথায় ফেলে দিল 

       *  হরিণ ভয় পেয়ে  ছুটে পালাল 

       *  হরিণের পায়ের চাপে পাখির বাসা ভেঙে গেল

       *  ছোটো পাখি ভয় পেয়ে হাতির কানে ঢুকে পড়ল 

       *  হাতি কানের ব্যাথায় পাগল হয়ে চাষির ফসলের ক্ষেতে ঢুকে পড়ল 

       *  হাতির পায়ের চাপে ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেল 



৭।     ৭ নং প্রশ্নর উত্তর নীচে করে দেওয়া হল 

           
ব্যক্তি/বস্তু/প্রানির
নাম
নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দ
মনের ভাব
কাজের  নাম
কোন কাজ



কাঠপিঁপড়ে

কাটারি

হাতি
সে

তার
রাগ

ভয়
সে সব
লাফিয়ে উঠল

ভেঙে দিল

ঝুলিয়ে রাখল


         
    
৮।   ৮ নং প্রশ্নের উত্তর নীচে ছকের মাধ্যমে করে দেওয়া হল 

             
শব্দ
শব্দার্থ
মেয়ে
কন্যা
পাখি
পক্ষী
গ্রাম
গাঁ
ডাল
শাখা
কাটারি
দা
ব্যথা
যন্ত্রণা
চাষি
কৃষক
বন
অরণ্য
    

৯।  
ক)    হরিণ ঃ-  হরিণের সিং আছে। হরিণ জঙ্গলে থাকে। হরিণ খুব সুন্দর দেখতে হয়

খ)     কাঠবিড়ালি ঃ-  কাঠবিড়ালির খুব সুন্দর একটা লেজ আছে। কাঠবিড়ালি হাতে ধরে 
                                     পেয়ারা খেতে পারে। কাঠবিড়ালি গাছে থাকে।

গ)     কাঠ পিঁপড়ে ঃ-   কাঠপিঁপড়ে কামড়ালে প্রচণ্ড জ্বালা করে । কাঠ পিঁপড়ে মাটির গর্তে 
                                       থাকে। 

ঘ)     হাতি ঃ-   হাতি গাছের ডালপালা ও শাখা-প্রশাখা খায় । হাতির একটা বিশাল বড়ো শুঁড় 
                          আছে। হাতির দাঁত দিয়ে অনেক কিছু তৈরি হয়। 

 ঙ)    পাখি  ঃ-   পাখির সারা শরীর পালকে ঢাকা থাকে। পাখিরা আকাশে উড়তে পারে। 
                            পাখি ডানা মেলে ওড়ে। 



১০।    ১০ নং প্রশ্নের ছকটি নীচে করে দেওয়া হল 

           
বৈশিষ্ট্য
হাতি
পাখি
হরিণ
কাঠবিড়ালি  
চারটি পা আছে
×
ü
ü
উড়তে পারে
×
ü
×
×
লেজ আছে
ü
ü
ü
ü
ঘাস খায়
×
×
ü
×
পালক আছে
×
ü
×
×
শিং আছে
×
×
ü
×