কার্তিক ঘোষের জন্ম ১৯৫০ সালে। তার লেখা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই হল - একটা মেয়ে একা, হাত ঝুমঝুম পা ঝুমঝুম, আমার বন্ধু গাছ, দলমা পাহাড়ের দুলকি, এ কলকাতা সে কলকাতা, জুঁই ফুলের রুমাল ইত্যাদি। ১৯৭৬ সালে " টুম্পুর জন্য" লেখাটির জন্য তিনি সংসদ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
কবিতাটির সারমর্ম ঃ
গাছেরা এই পৃথিবীতে কিভাবে এলো - সেই জন্মকথা এই কবিতাটিতে ফুটে উঠেছে। অনেক অনেক দিন আগে তখন পৃথিবীতে স্থলভাগ দেখা যেত না, চারিদিকে শুধুই জল আর জল থাকতো। আকাশে সূর্যের প্রবল তেজ বিদ্যমান ছিল। ঝড় বৃষ্টি প্রতিনিয়ত লেগে থাকত।
এমতাবস্থায়, পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের উদ্ভব হলো জলে এবং সেটা হল সবুজ শ্যাওলা রূপে। তারপর ধীরে ধীরে গাছের জন্ম হয়। গাছের জন্মকথা যেন রূপকথার গল্প কেও হার মানায়। কবির বিশ্বাস যে, সেই গল্প শুনে সকলেই আরো বেশি করে গাছ লাগানোর প্রতিজ্ঞা করবে।
কবিতাটি একটি সামাজিক বার্তা মূলক কবিতা। কবি এখানে গাছ লাগানোর জন্য মানুষকে উৎসাহ দিয়েছেন। কবি মনে করেন যে গাছেদের সম্বন্ধে জানলে প্রতিটি মানুষই গর্ববোধ করবে এবং আরো বেশি সংখ্যক গাছ লাগানোর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে। এখানেই কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা।
শব্দার্থ
ডাঙ্গা- স্থলভাগ , মাটি
সুয্যি- সূর্য
আগুন রাঙা- আগুনের মত জ্বলজ্বলে
রাঙা- রক্তিম বা লাল
নিত্য- রোজ, প্রতিদিন
ধারা- প্রবাহ বা বইছে এমন
শ্যাওলা- এক প্রকার জলজ উদ্ভিদ
সাড়া- জেগে ওঠা, ডাকা
রূপকথা- কাল্পনিক কাহিনী
গর্ব- অহংকার
বসাব- রোপণ করব
বিপরীত শব্দ
জল - স্থল এইখানে - ওইখানে ডাঙা - জল ওপর - নীচ নিত্য - মাঝে মাঝে, বা কখনো কখনো প্রথম - শেষ জন্ম - মৃত্যু
কবিতাটি থেকে কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হলো ঃ
১. গাছ বসাব কবিতার কবির নাম কি?
উত্তর:- গাছ বসাব কবিতাটির কবি হলেন কার্তিক ঘোষ
২. পৃথিবীতে গাছের জন্ম প্রথম কোথায় হয়েছিল?
উত্তর:- পৃথিবীতে গাছের জন্ম প্রথম জলে হয়েছিল
৩. পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি কিভাবে হয়েছিল?
উত্তর:- প্রতিদিন লেগে থাকা রোদ ঝড় বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ একদিন জলের মধ্যে শ্যাওলা রূপে জন্ম নিলো প্রান।
৪. গাছেদের জন্ম কাহিনী কিসের মতো মনে হয়?
উত্তর:- গাছেদের জন্ম কাহিনী রূপকথার গল্পের মতো মনে হয়
৫. গাছেদের কথা পড়তে পড়তে কি রকম অনুভূতি হবে?
উত্তর:- গাছেদের কথা পড়তে পড়তে আমাদের বুক গর্বে ভরে উঠবে
৬. আগে চারিদিকে কি ছিল?
উত্তর:- আগে চারিদিকে শুধু জল ছিল
৭. সেই সময় নিত্যদিন কি দুর্যোগ হতো?
উত্তর:- সেই সময় নিত্যদিন ঝড় আর বৃষ্টি হতো
৮. পৃথিবীতে গাছের জন্ম হলো কিরূপে?
উত্তর:- পৃথিবীতে শ্যাওলা রূপে গাছের জন্ম হলো
৯. কাদের কথা পড়ে আমাদের গর্ব হবে?
উত্তর:- গাছেদের কথা পড়ে আমাদের গর্ব হবে
১০. মাথার ওপর কে আগুন রাঙা?
উত্তর:- মাথার ওপর সূর্য আগুন রাঙা
১১. গাছের কথা পড়ে সবাই কি বলবে?
উত্তর:- গাছের কথা পড়ে সবাই বলবে "একশটা নয়, আরো গাছ বসাবো" ।
পাঠ্যাংশে বর্ণিত সত্যি সোনা গল্পটি একটি প্রচলিত গল্প। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই গল্পটি লোকের মুখে মুখে প্রচলিত হয়ে এসেছে।
গল্পটির সারমর্ম
গল্পটি পড়ে আমরা জানতে পারব যে, এক বৃদ্ধ চাষির মৃত্যুশয্যায়। সেই চাষির ছেলে বড়ই অলস। মারা যাবার সময় সেই চাষি তার ছেলেকে কাছে ডাকলেন এবং বললেন যে, তার জমানো সোনা তাদের চাষের জমির মধ্যে পুঁতে রাখা আছে। এই বলে তিনি মারা গেলেন। এদিকে অলস ছেলের লোভ ছিল ষোল আনা। কিন্তু চাষির ছেলের বউ ছিল খুব বুদ্ধিমতী। চাষির ছেলে তার বউয়ের পরামর্শে এবং সোনা পাবার লোভে দুজন মজুরকে সাথে নিয়ে গোটা জমি খুড়ে ফেললেন। কিন্তু কোন সোনা পাওয়া গেল না। তখন বউয়ের কথায় চাষির ছেলে বাজার থেকে সেরা ধানের বীজ কিনে নিয়ে আসে এবং সেই চষে ফেলা জমিতে সেই বীজ ছড়িয়ে দেয়। তারপর যথারীতি নামে বর্ষা। উপযুক্ত পরিবেশে সেবছর ফসল ফলে খুব ভালো। মাঠ ভরা পাকা ধানের রাশি দেখে মনে হয় কেউ যেন সত্যি সত্যি মাঠে সোনা ঢেলে দিয়েছে। ফসল কাটার পর চাষির ছেলে তা হাটে বিক্রি করে এক থলি টাকা উপার্জন করে। তখন সে উপলব্ধি করে যে, কঠোর পরিশ্রম করলে এবং বুদ্ধিকে কাজে লাগালে তার পুরস্কার অবশ্যই পাওয়া যায়।
শব্দার্থ
চাষি = যে চাষ করে
কঠিন = শক্ত, সহজে সাড়ে না এমন
অসুখ = রোগ, ব্যাধি
দরকারি = কাজের, প্রয়োজন
ষোলআনা = পুরোপুরি
পোঁতা = মাটি খুঁড়ে ঢোকানো
চোখ বুজলো = মারা গেল
গড়িমসি = অলসতায় সময় কাটানো
কপাল = ভাগ্য
মৃত্যুশয্যা = মারা যাবার আগের শয্যা
অলস = কুঁড়ে
আলসেমি = কুঁড়েমি
নিশ্চিন্ত = চিন্তা না করে বা, চিন্তাহীন
বৃথা = মিছিমিছি
নজর = খেয়াল ,দৃষ্টি
যথাসময়ে = সময়মত ,ঠিক সময়ে
শস্য = ফসল
অবাক = বিস্ময়
বুদ্ধিমতী = চালাক মহিলা বা চতুর মহিলা
গজগজ করা = বিরক্তি প্রকাশ করা
শুয়ে বসে = কোন কাজ না করে
রোজগার = আয়
পরিশ্রম = খাটুনি
পুরস্কার = উপহার
ধারণা = বোধ বা জ্ঞান
গর্ব = অহংকার
ক্ষেত = চাষের জমি
বিপরীত শব্দ
বুড়ো = জোয়ান, শিশু
বাঁচা = মরা
দরকারি = অদরকারি
হেঁসে = কেঁদে
সকালে = সন্ধ্যায়
দোষ = গুণ
সুবিধা = অসুবিধা
স্বামী = স্ত্রী
মিথ্যে = সত্যি
পুরস্কার = তিরস্কার
কঠিন = সহজ
যাওয়া = আসা
অলস = কর্মঠ
বুদ্ধিমতী = বোকা
ভালো = খারাপ, মন্দ
সকাল = সন্ধ্যা
খুশি = অখুশি
দেরি = তাড়াতাড়ি
অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর (হাতে কলমে)
১) একটি বাক্যে উত্তর দাও।
১.১) বুড়ো চাচির সংসারে কে কে ছিল?
উত্তর:- বুড়ো চাষির সংসারে বুড়ো চাষি, চাষির ছেলে, আর চাষির ছেলের বউ ছিল।
১.২) চাষির ছেলেটি কেমন প্রকৃতির ছিল?
উত্তর:- চাষির ছেলে খুব অলস কুঁড়ে এবং লোভী ছিল।
১.৩) বাপের কথা শুনে ছেলের মনের অবস্থা কেমন হলো?
উত্তর:- বাপের কথা শুনে লোভে ছেলের চোখ দুটো চকচক করে উঠলো।
১.৪) বুড়ো চাষি কোন কথাটা তার ছেলেকে বলে যাননি?
উত্তর:- সোনা জমিতে ঠিক কোনখানে পোঁতা আছে- সেই কথাটা বুড়ো চাষি তার ছেলেকে বলে যাননি।
২) সংক্ষেপে উত্তর দাও
২.১) চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কতটা জমি খুঁড়েছিল ?
উত্তর :- চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচ বিঘা জমি খুঁড়েছিলো।
২.২) চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে কে খুশি হয়েছিল ?
উত্তর :- চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে তার বউ খুশি হয়েছিল
২.৩) গল্পে কোদাল দিয়ে মাটি খোঁড়ার কথা বলা হয়েছে, আর কি কি দিয়ে মাটি খোঁড়া যায় বলে তোমার জানা আছে ?
উত্তর:- কোদাল ছাড়াও লাঙ্গল, শাবল, নিড়ানি দিয়ে মাটি খোঁড়া যায়।
৩) বন্ধনীর মধ্য থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে পুরো কথাটা আবার নিচে লেখ।
৩.২) চাষির ছেলের বউ ছিল খুব (চালাক /সরল/ বোকা /বুদ্ধিমতী)
উত্তর :- চাষির ছেলের বউ ছিল খুব বুদ্ধিমতী
৩.৩) বউ বলেছিল, সোনা যদি পাও তবে (আমাদের /তোমার/ মজুরদের /আমার ) কপাল ফিরে যাবে।
উত্তর:- বউ বলেছিল, সোনা যদি পাও তবে আমাদের কপাল ফিরে যাবে।
৩.৪) চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা (কম পয়সায় /দোকানে/ হাটে /বাজারে) বিক্রি করে।
উত্তর:- চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা হাটে বিক্রি করে।
৪) সংক্ষেপে উত্তর দাও
৪.১) চাষির ছেলে নিজে চাষ আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না কেন?
উত্তর:- চাষির ছেলে ছিল ভীষণ অলস প্রকৃতির। সে চিরকালই শুয়ে-বসে কাটিয়েছে। তাই সে নিজে চাষ আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না।
৪.২) শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলে র মাঠে চাষ করতে যাওয়ার কারণ কি ছিল?
উত্তর:- বউয়ের কথা শুনে চাষির ছেলে উপলব্ধি করে যে, মাটি খুড়তে গিয়ে মজুরেরা যদি সোনা পেয়ে যায়, তাহলে তারা সেটা সরিয়ে ফেলতে পারে। সেই কারণে মজুরদের কাজে নজরদারি করার জন্য শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলে মাঠে চাষ করতে যায়।
৪.৩) চাষির ছেলের বউ কোন সময়কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে?
উত্তর:- চাষির ছেলের বউ বর্ষা নামার আগের সময় কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে।
৪.৪) সে কোথা থেকে বীজ কিনে এনেছিল?
উত্তর:- সে হাট থেকে বীজ কিনে এনেছিল
৪.৫) সে কিসের বীজ কিনেছিল?
উত্তর:- সে সবচেয়ে সেরা ধানের বীজ কিনেছিল।
৪.৬) গল্পে কোন মানুষটাকে তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হলো ?
উত্তর:- গল্পে চাষির ছেলের বউকে আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হলো। কারণ পুরো গল্পটাতে ই চাষির ছেলের বউয়ের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়।
৫) নিজের ভাষায় উত্তর দাও।
৫.১) "সেটা বলবো বলেই তো ডেকেছি তোমায়"- কে এই কথা বলেছে? সে কাকে এই কথা বলেছে? সে তাকে কি বলার জন্য ডেকেছিল?
উত্তর:- সত্যি সোনা গল্পে উল্লেখিত বৃদ্ধ চাষির এই কথা বলেছে।
সে তার অলস ও লোভী ছেলে কে এই কথা বলেছে।
তার লুকোনো সোনা কোথায় রাখা আছে -সেটা বলার জন্যই সে তার ছেলেকে ডেকেছিল।
৫.২) গল্পে চাষির ছেলের বউ চাষির ছেলেকে কিভাবে সাহায্য করেছে তা লেখ।
উত্তর:- বুদ্ধিমতী বউয়ের পরামর্শে চাষির ছেলে গোটা জমিটা খুঁড়ে দেখে। বউয়ের পরামর্শেই সে জমি খোড়ার জন্য দুজন মজুর কে কাজে লাগান। শুধু তাই নয়, বউয়ের পরামর্শেই চাষির ছেলে জমিতে উপস্থিত থেকে মজুরদের কাজের ওপর তত্ত্বাবধান করেন। অবশেষে বউয়ের পরামর্শ অনুযায়ী জমিতে সোনার ফসল ফলিয়ে
অর্থ উপার্জনে সাফল্য লাভ করেন।
৫.৩) সত্যি সত্যি সোনা ফলেছে মাঠে- কে এই কথা বলেছে? সোনা বলতে এখানে আসলে কোন জিনিসকে বোঝানো হয়েছে? সেই জিনিসটা সোনা না হলেও তার সঙ্গে সোনার কি কি মিল আছে?
উত্তর:- চাষির ছেলের বউ এই কথা বলেছেন।
এখানে সোনা বলতে সোনালী রঙের পাকা ধান কে বোঝানো হয়েছে।
পাকা ধান সোনার মতোই সোনালী রঙের হয়।
তাছাড়া সোনার যেমন অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে, পাকা ধানের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম।
৫.৪) চাষির ছেলে ফসল বিক্রি করে বাড়ি ফিরলে তার বউ কি কারণে খুশি হলো?
উত্তর:- ফসল বিক্রির টাকাটাই ছিল চাষির ছেলের প্রথম রোজগার। বউটি তার স্বামীকে প্রথমবার জীবনে পরিশ্রম করে রোজগার করতে দেখে খুব খুশি হয়েছিল।
৫.৫) চাষির ছেলে আর তার বউ বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে কি পুরস্কার পেয়েছে?
উত্তর:- বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে তারা মাঠ ভরা ফসল ফলাতে পেরেছে, যা বিক্রি করে এক থলি টাকা পেয়েছে। চাষির অলস ছেলে কে তার বউ পরিশ্রমী করে তুলতে পেরেছে। সর্বোপরি নিজের পরিশ্রমের উপযুক্ত ফল লাভ করার জন্য অপার আনন্দ পেয়েছে।
৫.৬) "ছেলের বউ খুব বুদ্ধিমতি"- তার বুদ্ধির প্রকাশ গল্পে কিভাবে লক্ষ্য করা গেল ?
উত্তর:- চাষির ছেলের বউ তার অলস স্বামীকে কাজে লাগানোর জন্য প্রথমে দুজন মজুর নিয়োগ করার কথা বলল। আবার সোনা পেলে মজুরেরা নিয়ে চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে সে তার স্বামীকেও মাটি খোঁড়ার কাজে লাগাতে সক্ষম হয়। জমি খোড়ার পর যখন সোনা না পেয়ে তার স্বামী হতাশ হয়ে পড়ে, তখন সে তাকে জমিতে ধানের বীজ বোনার পরামর্শ দেয়। সে নিজে হাট থেকে বীজ কিনে এনে দেয়। তার এই বুদ্ধিমত্তার ফলে তাদের জমিতে সোনার ফসল ফলে।
৬) সোনা সকলের কাছেই পছন্দের। কারণ তার কতগুলো গুণ আছে।সেই গুণগুলো পাশের বাক্স থেকে নিয়ে তুমি নিচের ফাঁকা জায়গাগুলি তে বসাও।
৬.১) পিতলের থালা টা সোনার মতোই ..........
৬.২) পাকা ধান সোনার মতোই ..............
৬.৩) .......... সোনা দিয়ে গয়না বানানো যায় না
৬.৪) রুপো চকচকে হলেও সোনার চেয়ে কম ..............
অর্থাৎ, কবিতাটির দ্বিতীয় স্তবকটি পড়ে আমরা যা জানলাম
শিশুটি তার মা কে ঘরের এক কোণায় বসে মন খারাপ করে একা একা বসে কাঁদতে বারুন
করছে । কারন, সে রামের মতো দীর্ঘ চোদ্দ বছরের জন্য তার মা কে ছেড়ে বনবাসে চলে যাচ্ছে না ।
সে রাজপুত্রের মতো নৌকা ভর্তি করে সোনা মানিক নিয়ে বাণিজ্য করতে যাচ্ছে । তাছাড়া, তার এই যাত্রাপথে সে একা যাবে না। তার দুই- বন্ধু আশু ও শ্যাম থাকবে তার সাথে । সেই কারনে সে তার মা কে শুধু শুধু চিন্তা করে কাঁদতে মানা করছে।
দ্বিতীয় স্তবক থেকে কিছু প্রশ্ন উত্তর
(সমস্ত প্রশ্নর উত্তর ছাত্রছাত্রী রা নিজেরা করার চেষ্টা করবে। উত্তর নীচে দেওয়া আছে, তোমরা নিজেরাই উত্তর মিলিয়ে নাও। এক্ষেত্রে অভিভাবক/অভিভাবিকা দের সহায়তা একান্ত কাম্য)
**১) রামকে বনে যেতে হয়েছিল কেন ?
**২) রামকে কত বছরের জন্য বনবাসে যেতে হয়েছিল ?
**৩) শিশুটি নৌকা করে কি নিয়ে যাবে ?
**৪) যাত্রাপথে শিশুটির সঙ্গি কে থাকবে ?
**৫) শিশুটি তার মা কে কাঁদতে বারুন করেছে কেন ?
**৬) রামচন্দ্রের কাহিনী কোন বই পড়লে জানা যায় ?
**৭) রাজপুত্র, সোনা-মানিকের কথা কোন বই পড়লে জানা যায় ?
**৮) নৌকাযাত্রা কবিতায় কে কাকে কাঁদতে বারুন করেছে ?
উত্তর
**১) রাম কে পিতৃসত্য পালনের জন্য বনে যেতে হয়েছিল ।
**২) রাম চোদ্দ বছরের জন্য বনবাসে গিয়েছিল ।
**৩) শিশুটি নৌকা করে সোনা মানিক নিয়ে যাবে ।
**৪) যাত্রাপথে শিশুটির সঙ্গি হবে তার দুই বন্ধু আশু ও শ্যাম ।
**৫) শিশুটি তার মা কে কাঁদতে বারুন করছে কারন , সে রামচন্দ্রের মতো চোদ্দ বছরের জন্য বনবাসে যাচ্ছে না। সে যাচ্ছে মাত্র এক বারের জন্য বাণিজ্য করতে। তাছাড়া, সে রাজপুত্র হয়ে সোনা মানিক ভর্তি নৌকা করে যাত্রা করবে । শুধু তাই নয় যাত্রা পথে আশু ও শ্যামও থাকবে তার সাথে ।
**৬) রামচন্দ্রের কাহিনী রামায়ণ বই পড়লে জানা যায় ।
**৭) রাজপুত্র, সোনা মানিকের কথা রূপ কথার বই পড়লে জানা যায় ।
**৮) নৌকাযাত্রা কবিতায় শিশুটি তার মা কে কাঁদতে বারুন করেছে ।
শিশুটি তার দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে সোনা মানিক ভরা নৌকাটি ভোরের বেলায় ছেড়ে দেবে ।
দেখতে দেখতে সে অনেক দূরে ভেসে চলে যাবে। দুপুর বেলায় তার মা যখন পুকুর ঘাটে থাকবে, তখন শিশুটি নতুন রাজার দেশে পৌঁছে যাবে । তিরপূরনির ঘাট আর তেপান্তরের মাঠ পার করে সে পৌছবে নতুন রাজার দেশে। তারপর সন্ধে বেলায় সে ফিরে আসবে তার মায়ের কাছে। বাড়ি ফিরে আসার পর শিশুটি তার মায়ের কোলে বসে মা কে যাত্রাপথের সমস্ত ঘটনা গল্পর আকারে বলবে।
তৃতীয় স্তবক থেকে কিছু প্রশ্ন উত্তর
(সমস্ত প্রশ্নর উত্তর ছাত্র- ছাত্রী রা নিজেরা করার চেষ্টা করবে। উত্তর নীচে দেওয়া আছে । তোমরা নিজেরাই নিজেদের উত্তর মিলিয়ে নাও।এক্ষেত্রে অভিভাবক/অভিভাবিকা দের সহায়তা একান্ত কাম্য)
**১) নৌকাটি কখন ছাড়া হবে ?
**২) শিশুটি কখন নতুন রাজার দেশে পৌছবে ?
**৩) শিশুটি যখন নতুন রাজার দেশে পৌছবে তখন তার মা কোথায় থাকবে ?
**৪) নতুন রাজার দেশে যেতে পথে কি কি পরবে ?
**৫) শিশুটি কখন ফিরে আসবে ?
**৬) ফিরে এসে শিশুটি কি করতে চায় ?
**৭) শিশুটি সাত সমুদ্র তেরো নদী কতবার পার হতে চায় ?
**৮) নতুন জায়গা থেকে ফিরে এসে সে তার মা কে কিভাবে গল্প শোনাবে ?
উত্তর
**১) নৌকাটি ভোরের বেলায় ছেড়ে দেওয়া হবে ।
**২) শিশুটি দুপুর বেলায় নতুন রাজার দেশে পৌছবে ।
**৩) শিশুটি যখন নতুন রাজার দেশে পৌছবে তখন তার মা পুকুর ঘাটে থাকবে ।
**৪) নতুন রাজার দেশ যেতে পথে তিরপূরনির ঘাট ও তেপান্তরের মাঠ পরবে ।
**৫) শিশুটি সন্ধ্যে বেলায় ফিরে আসবে ।
**৬) শিশুটি ফিরে আসার পর মায়ের কোলে বসে মা'কে যাত্রাপথের গল্প বলতে চায় ।
**৭) শিশুটি সাত সমুদ্র তেরো নদী একবারের জন্য পার হতে চায় ।
**৮) নতুন জায়গা থেকে ফিরে এসে সে তার মায়ের কোলে বসে মা'কে গল্প শোনাবে ।
৮। ৮ নং প্রশ্নের উত্তর নীচে ছকের মাধ্যমে করে দেওয়া হল
শব্দ
শব্দার্থ
মেয়ে
কন্যা
পাখি
পক্ষী
গ্রাম
গাঁ
ডাল
শাখা
কাটারি
দা
ব্যথা
যন্ত্রণা
চাষি
কৃষক
বন
অরণ্য
৯। ক) হরিণ ঃ- হরিণের সিং আছে। হরিণ জঙ্গলে থাকে। হরিণ খুব সুন্দর দেখতে হয় খ) কাঠবিড়ালি ঃ- কাঠবিড়ালির খুব সুন্দর একটা লেজ আছে। কাঠবিড়ালি হাতে ধরে পেয়ারা খেতে পারে। কাঠবিড়ালি গাছে থাকে। গ) কাঠ পিঁপড়ে ঃ- কাঠপিঁপড়ে কামড়ালে প্রচণ্ড জ্বালা করে । কাঠ পিঁপড়ে মাটির গর্তে থাকে। ঘ) হাতি ঃ- হাতি গাছের ডালপালা ও শাখা-প্রশাখা খায় । হাতির একটা বিশাল বড়ো শুঁড় আছে। হাতির দাঁত দিয়ে অনেক কিছু তৈরি হয়। ঙ) পাখি ঃ- পাখির সারা শরীর পালকে ঢাকা থাকে। পাখিরা আকাশে উড়তে পারে। পাখি ডানা মেলে ওড়ে। ১০। ১০ নং প্রশ্নের ছকটি নীচে করে দেওয়া হল