উপরের ভিডিও টি বড়ো করে সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখার জন্য এইখানে ক্লিক করুন / স্পর্শ করুন
পাঠ্যাংশে বর্ণিত সত্যি সোনা গল্পটি একটি প্রচলিত গল্প। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই গল্পটি লোকের মুখে মুখে প্রচলিত হয়ে এসেছে।
গল্পটির সারমর্ম
গল্পটি পড়ে আমরা জানতে পারব যে, এক বৃদ্ধ চাষির মৃত্যুশয্যায়। সেই চাষির ছেলে বড়ই অলস। মারা যাবার সময় সেই চাষি তার ছেলেকে কাছে ডাকলেন এবং বললেন যে, তার জমানো সোনা তাদের চাষের জমির মধ্যে পুঁতে রাখা আছে। এই বলে তিনি মারা গেলেন। এদিকে অলস ছেলের লোভ ছিল ষোল আনা। কিন্তু চাষির ছেলের বউ ছিল খুব বুদ্ধিমতী। চাষির ছেলে তার বউয়ের পরামর্শে এবং সোনা পাবার লোভে দুজন মজুরকে সাথে নিয়ে গোটা জমি খুড়ে ফেললেন। কিন্তু কোন সোনা পাওয়া গেল না। তখন বউয়ের কথায় চাষির ছেলে বাজার থেকে সেরা ধানের বীজ কিনে নিয়ে আসে এবং সেই চষে ফেলা জমিতে সেই বীজ ছড়িয়ে দেয়। তারপর যথারীতি নামে বর্ষা। উপযুক্ত পরিবেশে সেবছর ফসল ফলে খুব ভালো। মাঠ ভরা পাকা ধানের রাশি দেখে মনে হয় কেউ যেন সত্যি সত্যি মাঠে সোনা ঢেলে দিয়েছে। ফসল কাটার পর চাষির ছেলে তা হাটে বিক্রি করে এক থলি টাকা উপার্জন করে। তখন সে উপলব্ধি করে যে, কঠোর পরিশ্রম করলে এবং বুদ্ধিকে কাজে লাগালে তার পুরস্কার অবশ্যই পাওয়া যায়।
শব্দার্থ
চাষি = যে চাষ করে
কঠিন = শক্ত, সহজে সাড়ে না এমন
অসুখ = রোগ, ব্যাধি
দরকারি = কাজের, প্রয়োজন
ষোলআনা = পুরোপুরি
পোঁতা = মাটি খুঁড়ে ঢোকানো
চোখ বুজলো = মারা গেল
গড়িমসি = অলসতায় সময় কাটানো
কপাল = ভাগ্য
মৃত্যুশয্যা = মারা যাবার আগের শয্যা
অলস = কুঁড়ে
আলসেমি = কুঁড়েমি
নিশ্চিন্ত = চিন্তা না করে বা, চিন্তাহীন
বৃথা = মিছিমিছি
নজর = খেয়াল ,দৃষ্টি
যথাসময়ে = সময়মত ,ঠিক সময়ে
শস্য = ফসল
অবাক = বিস্ময়
বুদ্ধিমতী = চালাক মহিলা বা চতুর মহিলা
গজগজ করা = বিরক্তি প্রকাশ করা
শুয়ে বসে = কোন কাজ না করে
রোজগার = আয়
পরিশ্রম = খাটুনি
পুরস্কার = উপহার
ধারণা = বোধ বা জ্ঞান
গর্ব = অহংকার
ক্ষেত = চাষের জমি
বিপরীত শব্দ
বুড়ো = জোয়ান, শিশু
বাঁচা = মরা
দরকারি = অদরকারি
হেঁসে = কেঁদে
সকালে = সন্ধ্যায়
দোষ = গুণ
সুবিধা = অসুবিধা
স্বামী = স্ত্রী
মিথ্যে = সত্যি
পুরস্কার = তিরস্কার
কঠিন = সহজ
যাওয়া = আসা
অলস = কর্মঠ
বুদ্ধিমতী = বোকা
ভালো = খারাপ, মন্দ
সকাল = সন্ধ্যা
খুশি = অখুশি
দেরি = তাড়াতাড়ি
অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর (হাতে কলমে)
১) একটি বাক্যে উত্তর দাও।
১.১) বুড়ো চাচির সংসারে কে কে ছিল?
উত্তর:- বুড়ো চাষির সংসারে বুড়ো চাষি, চাষির ছেলে, আর চাষির ছেলের বউ ছিল।
১.২) চাষির ছেলেটি কেমন প্রকৃতির ছিল?
উত্তর:- চাষির ছেলে খুব অলস কুঁড়ে এবং লোভী ছিল।
১.৩) বাপের কথা শুনে ছেলের মনের অবস্থা কেমন হলো?
উত্তর:- বাপের কথা শুনে লোভে ছেলের চোখ দুটো চকচক করে উঠলো।
১.৪) বুড়ো চাষি কোন কথাটা তার ছেলেকে বলে যাননি?
উত্তর:- সোনা জমিতে ঠিক কোনখানে পোঁতা আছে- সেই কথাটা বুড়ো চাষি তার ছেলেকে বলে যাননি।
২) সংক্ষেপে উত্তর দাও
২.১) চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কতটা জমি খুঁড়েছিল ?
উত্তর :- চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচ বিঘা জমি খুঁড়েছিলো।
২.২) চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে কে খুশি হয়েছিল ?
উত্তর :- চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে তার বউ খুশি হয়েছিল
২.৩) গল্পে কোদাল দিয়ে মাটি খোঁড়ার কথা বলা হয়েছে, আর কি কি দিয়ে মাটি খোঁড়া যায় বলে তোমার জানা আছে ?
উত্তর:- কোদাল ছাড়াও লাঙ্গল, শাবল, নিড়ানি দিয়ে মাটি খোঁড়া যায়।
৩) বন্ধনীর মধ্য থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে পুরো কথাটা আবার নিচে লেখ।
৩.১) ছেলের চোখ দুটো লোভে (ঝকঝক /চকচক /ঝকমক /ঝিকমিক )করে ওঠে
উত্তর:- ছেলের চোখ দুটো লোভে চকচক করে ওঠে
৩.২) চাষির ছেলের বউ ছিল খুব (চালাক /সরল/ বোকা /বুদ্ধিমতী)
উত্তর :- চাষির ছেলের বউ ছিল খুব বুদ্ধিমতী
৩.৩) বউ বলেছিল, সোনা যদি পাও তবে (আমাদের /তোমার/ মজুরদের /আমার ) কপাল ফিরে যাবে।
উত্তর:- বউ বলেছিল, সোনা যদি পাও তবে আমাদের কপাল ফিরে যাবে।
৩.৪) চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা (কম পয়সায় /দোকানে/ হাটে /বাজারে) বিক্রি করে।
উত্তর:- চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা হাটে বিক্রি করে।
৪) সংক্ষেপে উত্তর দাও
৪.১) চাষির ছেলে নিজে চাষ আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না কেন?
উত্তর:- চাষির ছেলে ছিল ভীষণ অলস প্রকৃতির। সে চিরকালই শুয়ে-বসে কাটিয়েছে। তাই সে নিজে চাষ আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না।
৪.২) শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলে র মাঠে চাষ করতে যাওয়ার কারণ কি ছিল?
উত্তর:- বউয়ের কথা শুনে চাষির ছেলে উপলব্ধি করে যে, মাটি খুড়তে গিয়ে মজুরেরা যদি সোনা পেয়ে যায়, তাহলে তারা সেটা সরিয়ে ফেলতে পারে। সেই কারণে মজুরদের কাজে নজরদারি করার জন্য শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলে মাঠে চাষ করতে যায়।
৪.৩) চাষির ছেলের বউ কোন সময়কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে?
উত্তর:- চাষির ছেলের বউ বর্ষা নামার আগের সময় কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে।
৪.৪) সে কোথা থেকে বীজ কিনে এনেছিল?
উত্তর:- সে হাট থেকে বীজ কিনে এনেছিল
৪.৫) সে কিসের বীজ কিনেছিল?
উত্তর:- সে সবচেয়ে সেরা ধানের বীজ কিনেছিল।
৪.৬) গল্পে কোন মানুষটাকে তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হলো ?
উত্তর:- গল্পে চাষির ছেলের বউকে আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হলো। কারণ পুরো গল্পটাতে ই চাষির ছেলের বউয়ের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়।
৫) নিজের ভাষায় উত্তর দাও।
৫.১) "সেটা বলবো বলেই তো ডেকেছি তোমায়"- কে এই কথা বলেছে? সে কাকে এই কথা বলেছে? সে তাকে কি বলার জন্য ডেকেছিল?
উত্তর:- সত্যি সোনা গল্পে উল্লেখিত বৃদ্ধ চাষির এই কথা বলেছে।
সে তার অলস ও লোভী ছেলে কে এই কথা বলেছে।
তার লুকোনো সোনা কোথায় রাখা আছে -সেটা বলার জন্যই সে তার ছেলেকে ডেকেছিল।
৫.২) গল্পে চাষির ছেলের বউ চাষির ছেলেকে কিভাবে সাহায্য করেছে তা লেখ।
উত্তর:- বুদ্ধিমতী বউয়ের পরামর্শে চাষির ছেলে গোটা জমিটা খুঁড়ে দেখে। বউয়ের পরামর্শেই সে জমি খোড়ার জন্য দুজন মজুর কে কাজে লাগান। শুধু তাই নয়, বউয়ের পরামর্শেই চাষির ছেলে জমিতে উপস্থিত থেকে মজুরদের কাজের ওপর তত্ত্বাবধান করেন। অবশেষে বউয়ের পরামর্শ অনুযায়ী জমিতে সোনার ফসল ফলিয়ে
অর্থ উপার্জনে সাফল্য লাভ করেন।
৫.৩) সত্যি সত্যি সোনা ফলেছে মাঠে- কে এই কথা বলেছে? সোনা বলতে এখানে আসলে কোন জিনিসকে বোঝানো হয়েছে? সেই জিনিসটা সোনা না হলেও তার সঙ্গে সোনার কি কি মিল আছে?
উত্তর:- চাষির ছেলের বউ এই কথা বলেছেন।
এখানে সোনা বলতে সোনালী রঙের পাকা ধান কে বোঝানো হয়েছে।
পাকা ধান সোনার মতোই সোনালী রঙের হয়।
তাছাড়া সোনার যেমন অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে, পাকা ধানের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম।
৫.৪) চাষির ছেলে ফসল বিক্রি করে বাড়ি ফিরলে তার বউ কি কারণে খুশি হলো?
উত্তর:- ফসল বিক্রির টাকাটাই ছিল চাষির ছেলের প্রথম রোজগার। বউটি তার স্বামীকে প্রথমবার জীবনে পরিশ্রম করে রোজগার করতে দেখে খুব খুশি হয়েছিল।
৫.৫) চাষির ছেলে আর তার বউ বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে কি পুরস্কার পেয়েছে?
উত্তর:- বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে তারা মাঠ ভরা ফসল ফলাতে পেরেছে, যা বিক্রি করে এক থলি টাকা পেয়েছে। চাষির অলস ছেলে কে তার বউ পরিশ্রমী করে তুলতে পেরেছে। সর্বোপরি নিজের পরিশ্রমের উপযুক্ত ফল লাভ করার জন্য অপার আনন্দ পেয়েছে।
৫.৬) "ছেলের বউ খুব বুদ্ধিমতি"- তার বুদ্ধির প্রকাশ গল্পে কিভাবে লক্ষ্য করা গেল ?
উত্তর:- চাষির ছেলের বউ তার অলস স্বামীকে কাজে লাগানোর জন্য প্রথমে দুজন মজুর নিয়োগ করার কথা বলল। আবার সোনা পেলে মজুরেরা নিয়ে চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে সে তার স্বামীকেও মাটি খোঁড়ার কাজে লাগাতে সক্ষম হয়। জমি খোড়ার পর যখন সোনা না পেয়ে তার স্বামী হতাশ হয়ে পড়ে, তখন সে তাকে জমিতে ধানের বীজ বোনার পরামর্শ দেয়। সে নিজে হাট থেকে বীজ কিনে এনে দেয়। তার এই বুদ্ধিমত্তার ফলে তাদের জমিতে সোনার ফসল ফলে।
৬) সোনা সকলের কাছেই পছন্দের। কারণ তার কতগুলো গুণ আছে।সেই গুণগুলো পাশের বাক্স থেকে নিয়ে তুমি নিচের ফাঁকা জায়গাগুলি তে বসাও।
৬.১) পিতলের থালা টা সোনার মতোই ..........
৬.২) পাকা ধান সোনার মতোই ..............
৬.৩) .......... সোনা দিয়ে গয়না বানানো যায় না
৬.৪) রুপো চকচকে হলেও সোনার চেয়ে কম ..............
(চকচকে ,আসল ,দামি ,ঝলমলে)
-:উত্তর:-
৬.১) পিতলের থালা টা সোনার মতোই চকচকে
৬.২) পাকা ধান সোনার মতোই ঝলমলে
৬.৩) আসল সোনা দিয়ে গয়না বানানো যায় না
৬.৪) রুপো চকচকে হলেও সোনার চেয়ে কম দামি
এটা অনেক উপকারী বাচ্চাদের পড়াতে সুবিধা হয় ধন্যবাদ
ReplyDeleteThank you admin
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteThank you so much😊 khubb subhidhe hyy bacchader porate again thank you❤🙏
ReplyDeleteSatti sona golpe krishak putro kibhabe satti sona লাভ কার্লো ?
ReplyDeleteOnk subidhadayok lekha.. thank you soooo much admin
ReplyDeleteখুব সুন্দর
ReplyDeleteঅনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ReplyDeleteI am ariyan
ReplyDeleteI am ariyan
ReplyDeleteবাবার কোন কথাটা ঠিক বলে মনে হয়েছে আলোচনা কর
ReplyDeleteThank you
ReplyDeleteহাত লাগানো বিপরীত শব্দটা দেবেন
ReplyDeleteJhwkq
ReplyDeleteধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার জন্য
ReplyDeleteedu bangla online
অসাধারণ একটি প্রচেষ্টা
ReplyDeletePoor mama ki
ReplyDeleteThank you so much 😊
ReplyDelete